উড়ন্ত বাংলাদেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পর আইরিশদেরও মাটিতে নামিয়ে আনল

সাগরিকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই একটা জিনিস খুব কমন ছিল, আর সেটা হচ্ছে বৃষ্টি। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই সেটি বাংলাদেশের জয়ের পথে অন্তরাল হতে পারেনি। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৩-০ সিরিজ জয় যে কোন ফ্লুক ছিলনা সেটি প্রমান করার মঞ্ছ ছিল এই সিরিজ। আর সেই সিরিজে বাংলাদেশ লেটার মার্ক পেয়ে পাশ করেছে। প্রথম ম্যাচে যেমন বাংলাদেশের ওপেনাররা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিলেন , দ্বিতীয় ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম হয়নি । লিটন দাস ও রনি তালুকদারের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে আইরিশ বোলারদের অসহায় আত্নসমর্পন ছাড়া কোন অন্য কোন উপায় ছিল না। তাদের ৫৬ বলে ১২৪ রানের পার্টনারশিপ শুধু প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙ্গে দেয়নি বরং ২০০ রানের ভিত গড়ে দিয়েছিল।

মিডিল অর্ডারে সাকিব ও তৌহিদ হৃদয় সময় উপযোগী ব্যাটিং আইরিশদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত কাজ করেছে। সাকিবের ৩২ ও হৃদয়ের ২৪ রানের ক্যামিও দলীয় স্কোরকে দুইশত এর উপরে নিয়ে গেছে।  উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে টি-টোয়েন্টিতে ২০০ বা এর অধিক রান সব সময় চ্যালেঞ্জিং, সেদিক থেকে চিন্তা করলে ১৭ ওভারে ২০২ রান আইরিশদের জন্য পাহাড়সম। আর সেই পাহাড়ে চাপা পড়তে হবে তাদের তা প্রথম ইনিংস শেষে রাখঢাক না করেই বলা যেত।

২০২ রানের মত বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং তোপে আস যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত ছিল। ইনিংসের প্রথম বলেই দলীয় অধিনায়ক পল স্টার্লিং তাসকিনের আউটসুয়িংয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভেলিয়ানে ফিরে যান। সেইখান থেকে তারা আর খেলায় ফিরে আসতে পারেনি। সাকিব একে একে পাচ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেন।পাঁচ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর খেতাব অর্জন করেন। শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করতে সক্ষম হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *