শেষ ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে কলকাতার ত্রাতা হলেন রিংকু সিং

জয়ের জন্য কলকাতার শেষ ৫ বলে দরকার ছিল ২৮ রান ছিল –এই ম্যাচ কেউ জিতাতে পারে? সেটা রিংকু সিং করে দেখানোর আগে কেউ বিশ্বাস করতো না।

স্বীকৃত টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এত দিন যা কেউ করে দেখাতে পারেনি তাই তিনি করে দেখালেন তিনি। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে কলকাতাকে হারতে বসে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রিংকু সিং।

এর আগে আইপিএলে এক ওভারে ৫ ছক্কা হাকানোর ঘটনা ঘটে থাকলেও শেষ ওভারে সফল রান তাড়ায় এটিই প্রথম। এবারের আসরে এটি কলকাতার তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয়।

বিজয় শঙ্করের টর্নেডো ইনিংসের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ঝোড়ো ব্যাটিং আর আফগান সুপারস্টার রশিদ খানের হ্যাটট্রিক মিলিয়ে নাটকীয়তা কম ছিল না গুজরাট–কলকাতা ম্যাচটিতে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে শেষদিকে রিংকু সিং এর ব্যাটিং তান্ডব।

শেষ ওভারে শাহরুখের কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৯ রান। ইয়াশ দয়ালের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে উমেশ যাদব সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন রিংকুকে। বাঁহাতি দয়ালের ওভারের দ্বিতীয় বলটি ছিল অফসাইডে ফ্র্যান্ডলী ফুল টস। বলের নিচে ব্যাট পেতে এক্সট্রা কাভার দিয়ে বাউন্ডারি পার করেন রিংকু। এর পরের বলও ছিল ফুল টস। প্যাডে আসা এই বলটি রিংকু ওড়ান ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার দিয়ে।

তখনো নাইটদের তিন বলে ১৬ রান দরকার ছিল বলে খুব একটা দুশ্চিন্তা ছিল না গুজরাট শিবিরে। তবে বিপত্তি বাধে যখন দয়াল চতুর্থ বলটিও আবারও ফুলটস দিয়ে বসেন। টানা তিন ছয়ে গুজরাট টাইটানস চাপে পড়ে যায়।

অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনার করার পর পঞ্চম বলে স্লোয়ার মারেন দয়াল, লেন্থও ছিল কম। কিন্তু ততক্ষণে ‘খুনে মেজাজে’ পৌঁছে যাওয়া রিংকু এবার ছয় মারেন লং অনের মাঠার উপর দিয়ে। শেষ বলে চার রানের প্রয়োজন ছিল।

শেষ বলটি দয়াল অফ স্টাম্পের বাইরে করেন, আর সেটিকে  সোজা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠান রিংকু। বল বাউন্ডারি পার হওয়ার আগেই উৎসবে মেতে ওঠেন রিংকু। ততক্ষনে ডাগআউট থেকে বেরিয়ে আসা কলকাতার খেলোয়াড়–কোচিং স্টাফরা অবিস্মরণীয় জয়কে উদযাপন করতে মাঠে রিংকুর সাথে যোগদান করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *