হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে গেলেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলী

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ   

হেলিকপ্টারে গিয়ে বিয়ে করে নববধূকে বাড়িতে আনলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সোনাপুর পাবনাপাড়া এলাকার প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বাদশা। গ্রামের মধ্যে হেলিকপ্টারে করে নববধূ বাড়িতে নিয়ে আসায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

এলাকাবাসী জানান, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সোনাপুর পাবনাপাড়া এলাকার স্কুল শিক্ষক মাওলানা নূরুল ইসলামের ছেলে হারুন অর রশীদ বাদশা। স্কুল শিক্ষক নূরুল ইসলামের ছেলে বাদশাকে বিয়েও দিয়েছেন বাদশার মতোই। শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বাদশা হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করে নববধূকে বাড়িতে আনেন।

বরের চাচা ফজলুর রহমান জানান, প্রাইভেটকারে বাড়ি থেকে ৫শ’ গজ দূরে স্কুল মাঠে গিয়ে তার দুই দুলাভাই ও এক ভাগ্নিকে নিয়ে সোনাপুর স্কুল মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে উঠেন বাদশা। হেলিকপ্টারে বরসহ ৪ জন বরযাত্রী হলেও সকালেই তার আত্মীয় স্বজনরা বাসে করে কনে বাড়ি রাজশাহীতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে পৌঁছায়। সেখানে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি উপজেলার রাজাবাড়ি হাট এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট নূহুন নবীর মেয়ে প্রকৌশলী উর্মী আক্তারকে বিয়ে করে বিকেলে ফিরেন বাদশা।

ছোট বেলায় বাদশাকে তার বাবা হেলিকপ্টারে করে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। আর এই বিয়েতে তার স্বপ্ন পূরণ হলো বলেন চাচা।

নূরুল ইসলাম জানান, তার ছেলে হারুন অর রশীদ বাদশা বর্তমানে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমানবিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার ছেলে ও বৌমা দুজনেই নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভারসিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এ পড়ালেখা করেছেন। তবে কনে উর্মী আক্তার এনি এখনও কোন চাকরিতে যোগ দেননি। আর পারিবারিকভাবে তাদের এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রামে এই প্রথম হেলিকপ্টারে বিয়ে দেখে আনন্দিত এলাকাবাসী। সোনাপুর স্কুল মাঠে শত শত গ্রামবাসী হাজির হন বরযাত্রা দেখতে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *