পাপিয়ার ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মিলেছে

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:

নরসিংদী জেলার বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মামতাজ রোববার যুগান্তরকে জানান, পাপিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। অনুসন্ধানে তার চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য আমাদের হাতে আছে। কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে, সেগুলো শেষ হলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

এদিকে, রিমান্ড মঞ্জুরের পর সোমবার বিকালে ঢাকা হাকিম আদালত থেকে পাপিয়াকে নিয়ে যায় পুলিশ।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকা ও নরসিংদীতে পাপিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। সে সময় র‌্যাবের তরফ থেকে বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের একটি তারকা হোটেল ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটির টাকার উপরে।

গ্রেফতারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে জাল নোটের একটি এবং অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। আর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে। এরপর দুদকও পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে।

দুদক জানায়, পাপিয়াকে অন্য একটি সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সেই সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে দুদকের পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুদকের ওই কর্মকর্তা জানান, হোটেলের যে তিনটি কক্ষ পাপিয়া ও তার সহযোগীরা ব্যবহার করতেন, গত ১৫ মার্চ সেগুলো পরিদর্শন করেছেন তিনি। ওই কক্ষগুলোর মালামালের ইনভেন্ট্রি তৈরি করেছেন।
ওই তিন কক্ষের মালামাল সরাতে গেলে তিনটি ট্রাক লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, অবাক হওয়ার মতো বিষয় যে সেখানে একশ জোড়া স্যান্ডেল পাওয়া গেছে। বেশিরভাগই পাপিয়ার। এছাড়া প্রচুর দামি দামি পোশাক ও ঘড়ি পাওয়া গেছে।

এছাড়া পাপিয়া নিজ হাতে সই করে কত টাকা হোটেলে বিল দিয়েছেন, সেই সব বিলের কপিও সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে এই দুদক কর্মকর্তা বলেন, তার গ্রামের বাড়িও পরিদর্শন করতে হবে। তারপরই মামলাটি করা হবে। তিনি জানান, পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ছাড়াও আরও নয়জন থাকতেন হোটেলের ওই কক্ষগুলোতে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *