সিলেটে ছাত্রজোটের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের বাধাঁ

বিয়ানীবাজারের ডাকঃ

সিলেটসহ সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণের প্রতিবাদ, ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার ও ধর্ষকদের প্রশ্রয়দাতাদের বিচারের দাবিতে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে প্রগতিশীল ছাত্র জোট সিলেট জেলার অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১২ তার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসকের মূল ফটকে সমাবেশ করেন ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, কলেজ অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের পদত্যাগ ও ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মিছিল, সংহতি সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। গত শনিবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এমসি কলেজ অভিমুখে পদযাত্রা করে জোটটি৷ পদযাত্রা থেকে বুধবার সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে এগারোটায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অভিমুখে মিছিল শুরু করে ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। এসময় মিছিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মূল ফটকে যাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতন্ডা হয় ছাত্রজোটের নেতৃবৃন্দের। পরে জেলা প্রশাসকের মূল ফটকের সামনেই সমাবেশ করেন ছাত্রজোট নেতাকর্মীরা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া নওশীন তাসনিমের সঞ্চালনায় সমাবেশ বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি সরোজ কান্তি, ছাত্রফ্রন্ট সিলেট মহানগরের আহ্বায়ক সঞ্জয় শর্মা, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক জাবির আহমদ, চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক অধীর বাউরি প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, আন্দোলন দমনে পুলিশ যত তৎপর, ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে পুলিশের এত তৎপরতা দেখা যায় না। প্রগতিশীল ছাত্রজোটের আজকের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার তীব্র নিন্দা জানাই। আগামীতে সড়ক অবরোধ ও কালো পতাকা মিছিল সমাবেশের ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা আরও বলেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন, তনু হত্যার মতো আলোচিত অনেক অপরাধের বিচার হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সমাজে খুন-ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা বেড়েই চলেছে। অনেক সময় আন্দোলন থামাতে কিছু অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হলেও বিচার নিশ্চিত করা হয় না। তাই এসব অপরাধীদের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এসব অপরাধী একদিনে তৈরি হয়ে যায়নি। তাই এদের আশ্রয়দাতাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় এই প্রবণতা বন্ধ করা যাবে না।

এদিকে অবস্থান কর্মসূচিতে বাধার প্রতিবাদ তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদ মিনারে ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি সরোজ কান্তির সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগরের সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া নওশীন তাসনিমের সঞ্চালনায় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *