এ রায় সমাজে সাহেদের মতো প্রতারকদের জন্য সতর্কবার্তা

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আদালত বলেছে, এ রায় দিতে যাচ্ছি তা সমাজের অন্য যারা ভদ্রবেশী প্রতারক আছে, তাদেন জন্য দৃষ্টান্ত হবে। ঢাকার মহানগর ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় পড়ার শুরুতেই আদালত এসব মন্তব্য করেন। এসময় বলেন, বিচারক বলেন, আসামি সাহেদের আচরণ আমাকে অবাক করেছে। নিজের গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হলেও আদালতে বার বার সাহেদ গাড়িটি নিজের নয় বলে দাবি করেছিল। পরে গাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশনের নথি সামনে আসতেই সে স্বীকার করলে। সাহেদ একজন চতুর অপরাধী।

রায় শোনার পরপরই অনেকটাই ভেঙে পড়েন কাঠগড়ায় থাকা সাহেদ। তাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। এ রায় সমাজে সাহেদের মতো প্রতারকদের জন্য সতর্কবার্তা বলে প্রতিক্রিয়া দেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু। সাহেদের সবোচ্চ সাজা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন সাহেদের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, সাহেদ লঘু পাপে গুরু দণ্ড পেয়েছেন। এর আগে সকালে কারাগার থেকে কড়া নিরপত্তার মধ্য দিয়ে সাহেদকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। পরে বেলা ২টার কিছুক্ষণ আগে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়।

করোনা চিকিৎসার নামে হাজারো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও ভুয়া কোভিড রিপোর্ট দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন সাহেদ। দেশ থেকে পালানোর সময় গত ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর ঢাকায় সাহেদের উত্তরার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে পুলিশ।

গত ৩০ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। এরপর ২৭ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয় আদালতে। মাত্র ৮ কার্যদিবসে শেষ হওয়া মামলায় আদালত সাহেদকে সবোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *