সিলেট নগরজুড়ে অটোরিকশার দাপট, পুলিশের নজর কেবল মোটরসাইকেলে

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ

সিলেট নগরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। অথচ পুলিশের নজর কেবল মোটরবাইক চালকদের উপর। প্রায়ই তারা অযথা হয়রানির শিকার হন। খরচ করতে হয় অতিরিক্ত টাকা। এর ফলে প্রায়ই বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের সাথে মোটরসাইকেল চালকদের খিটিমিটি লেগেই থাকছে। এমনকি মাঝে মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘঠছে।

সর্বশেষ গত শনিবার নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের সাথে দুই সহদোরের মারধরের ঘটনা ঘঠেছে। জানা গেছে, সৌরভ চৌধুরী নামক এক যুবক তার ভাইকে নিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার জন্য নয়, সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠেছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ার পর চাবি কেড়ে নেয়ার জন্য। এরপর তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের কারা হয়। তারা এখন কারাগারে।

প্রায় একই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল সোমবার। এক যুবক তার মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফেরার পথে চৌহাট্টা পয়েন্টে একজন ট্রাফিক পুলিশ গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। তিনি বাসা থেকে এনে দেখাতে হবে বললে ঐ পুলিশ সদস্য অত্যন্ত কঠোর ভাষায় গাড়ি পার্ক করতে বলে চাবি নিজেদের কাছে নিয়ে নেয়। এরপর কিছু টাকার বিনিময়ে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফিরেন।

সিলেট নগরীর এই চিত্র প্রতিদিনের। নগরজুড়ে বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্টে এভাবেই মোটরসাইকেল চালকদের অযথা হয়রানির শিকার হতে হয়। খরচ করতে হয় টাকা।

এর বিপরীতে নগরজুড়ে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার দাপট। যত্রতত্র সিএনজি পার্ক করে রাখায় নাগরিক যন্ত্রণা অনেক পুরানো। কোথায় রাখা হচ্ছেনা এসব গাড়ি! প্রায় সর্বত্র চলছে তাদের রাজত্ব। তাদের অধিকাংশেরই কোন কাগজপত্র নেই, থাকলেও মেয়াদ নেই। নির্ধারিত হারে মাসোহারার স্লিপ দিয়ে তারা তাদের রাজত্ব চালাচ্ছে। পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশ তাদের দেখেও না দেখার ভান করে। মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে দু’একজনকে আটকের বিষয়টিকে অনেকেই আইওয়াশ মনে করেন।

মোটরসাইকেলওয়ালাদের প্রতি ট্রাফিক পুলিশের এমন বিমাতাসুলভ আচরণে দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলে যারা চলাচল করেন তারা মনে করছেন, টাকার লোভে দিনে দিনে ট্রাফিক পুলিশ তাদের অযথা হয়রানি করছে। আর তাই শনিবারের হামলা। তারা আরও নম্র-ভদ্র ও সুন্দর আচরণ এবং অযথা হয়রানি থেকে বিরত না থাকলে আগামীতে তা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সচেতন মহল।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *