মৌলভীবাজারে করোনায় মারা যাওয়া হিন্দু ব্যক্তির সৎকার করল ইকরামুল মুসলিমীন

বিয়ানীবাজারের ডাকঃ

করোনা ভাইরাসে যখন বিশ্ব দিশেহারা, পিতা পুত্রকে, আত্মীয়-স্বজনকে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে সেখানে মৌলভীবাজারে ইকরামুল মুসলিমীন ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেে চলেছে। এপর্যন্ত ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজারের ১৪তম দাফন, হিন্দু ২য় সৎকার সম্পন্ন করেছে।
শুক্রবার মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বটুলি গ্রামের মৃত লোকেশ পালের ছেলে পরিতোষ পাল (৫৫) বৃহস্পতিবার রাত ১২.৪৫ মিনিটের সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে বড়লেখা উপজেলা শহরের গাজীটেকা নামক স্থানের সরৎ ম্যানশনের ৩য় তলায় পরলোকগমন করেন।

ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজার সভাপতি মাওঃ এহসানুল হক জাকারিয়া বলেন, পরলোকগমনকারীর ছেলে পার্থ পাল মুঠোফোনে তাঁকে বলেন তার বাবা করোনা পজেটিভ অবস্থায় পরলোকগমন করেছেন কিন্তু সৎকারের জন্য কোনো মানুষ খোঁজে পাচ্ছেননা, আমরা উনার বাবার সৎকার করবো কি না ? তিনি তখন তাকে বলেন, যদি প্রশাসন অনুমতি দেয় তাহলে সৎকার করে দিবেন। ছেলেটি তখন বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানান তারা অনুমতি দিয়েছেন, তবে জুড়ী উপজেলায় কথা বলতে হবে, মৃত ব্যক্তির ছেলে জুড়ী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের সাথে আলাপ করেন।

ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজারের সভাপতি ও উভয় উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে, তাদের অনুমতিতে সৎকার কার্জ সম্পন্ন করেন। ইকরামুল মুসলিমীন সভাপতি আরো জানান, তারা এম্বুলেন্স দিয়ে বড়লেখা বাসা থেকে লাশ নিয়ে জুড়ীতে এনে সেখানে লাশকে স্নান করান ও সৎকারের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহন করেন। মৃত ব্যক্তির ছেলে, মূখাগ্নী করেন। ভোররাত থেকে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত সৎকার চলে। তিনি বলেন, জাত,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তাদের এ প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে।

ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজার এর আগে শ্রীমঙ্গলে মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ দত্তের সৎকার করে এবং শমসেরনগর খ্রীস্টান চার্চের শ্যামুয়েল রোকন মল্লিককে ফ্রি অক্সিজেনসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে।এটা ইকরামুল মুসলিমীন মৌলভীবাজারের ২য় হিন্দু সৎকার এবং ইকরামুল মুসলিমীনের ১৪ তম দাফন-কাফন।
মৌলভীবাজার সদরে ৩টি, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৬টি, জুড়ী উপজেলায় আজসহ ৩ টি এবং কুলাউড়া উপজেলায় ১ টি এবং বড়লেখা উপজেলায় ১ টি, দাফন-কাফনে অংশগ্রহণ করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *