ভ্যাকসিন আসছে, করোনার অবসান ঘটবে শিগগিরই

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসের পরিচালক ড.অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধ আসছে, শিগগিরই কোভিড-১৯ ভাইরাসের অবসান ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্রে আর দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের দরকার হবে না বলেও মনে করেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় করোভাইরাস টাস্কফোর্সের এই সদস্য বলেন, আমি আশাবাদী যে শিগগিরই বিশ্ব একটি ভ্যাকসিন পাবে, যা মহামারির অবসান ঘটাবে। ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার ফল খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।

ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসের মতো বহু এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে লকডাউন কতটা কার্যকর এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার ফাউসি বলেন,আমি মনে করি না, আমরা লকডাউনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আর কথা বলব।

কোভিড-১৯ এর ওষুধ নিয়ে ফাউসি বলেন, যুক্তরাজ্যে স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসনের পরীক্ষার ফলাফলে তিনি মুগ্ধ। ওষুধটি পরীক্ষায় ভেন্টিলেশনে থাকা কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি এক তৃতীয়াংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ ওষুধ রোগীর সংক্রমণের পরপরই না দিতে পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের এ বিশেষজ্ঞ।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগীর ভেন্টিলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন, সেই রোগীদের জীবন বাঁচাতে ডেক্সামেথাসন অত্যন্ত কার্যকর বলে দেখা গেছে। এটা এক ধরনের স্টেরয়েড। তবে মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

বিবিসির খবরে বলা হয়ে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই গবেষণা চালিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় দুই হাজার করোনা রোগীর দেহে ডেক্সামেথাসন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি ৪০ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে কমে আসে। আর যেসব রোগীর অক্সিজেন গ্রহণের প্রয়োজন হয়, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে কমে আসে।

অন্যান্য টিকার ব্যবহারে করোনার চিকিৎসার বিষয়ে ফাউসি বলেন,করোনাভাইরাসের টিকার সঙ্গে এইচআইভির টিকার তুলনা করা যাবে না। করোনাভাইরাস টিকার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী, কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী এ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাদের ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধী ক্ষমতা ভাইরাসটিকে পরাজিত করতে পেরেছে। এ থেকে বোঝা যায়, প্রকৃতি আপনাকে এটি দূর করা সম্ভব,সে প্রমাণ দেয়।সূত্র : যুগান্তর

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *