বড়লেখার মুক্তিযুদ্ধকন্যা লায়লাকে ঘর উপহার দিলেন ইউএনও শামীম আল ইমরান

বিয়ানীবাজারের ডাকঃ

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মুক্তিযোদ্ধাকন্যা লায়লা বেগমের ভাঙা ঘর সরিয়ে টিন দিয়ে নতুন ঘর তৈরি করে দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার (৫ জুন) থেকে নতুন ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

গত বুধবার (৩ জুন) প্রচণ্ড ঝড়ে ট্রান্সফরমারসহ বিদ্যুতের একটি খুঁটি ভেঙে পড়লে লায়লা বেগমের একটি বসতঘর একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘর হারিয়ে অসহায় লায়লা পরিবার নিয়ে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমারন লায়লা বেগমের বাড়িতে ছুটে যান। ওইসময় তিনি অসহায় লায়লা বেগমকে খাদ্য সহায়তা ও ৫ হাজার টাকা প্রদানের পাশাপাশি নতুন একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের করমপুর গ্রামে লায়লা বেগমের এমনিতেই অভাবের সংসার। করোনাকালে কোনোমতে টেনেটুনে চলছিল তাঁর পরিবারের চাকা। গত বুধবার দুপুরের ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের সিঙেল ফেজের একটি লাইনের উপরে গাছ পড়ে যায়। এতে অদূরে অবস্থিত লায়লা বেগমের বসতঘর ঘেঁষা ১০ কেভি ট্রান্সফরমারসহ একটি খুঁটি ভেঙে ঘরের উপরে পড়ে যায়। এতে বসতঘরটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ওইসময় ঘরে থাকা বাসিন্দারা তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসায় অল্পের জন্য তাঁরা প্রাণে রক্ষা পান। তবে পরিবারের দু’জন সদস্য কিছুটা আহত হন। খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুত সমিতির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের এলাকা ঝুঁকিমুক্ত করে।

এদিকে মাথাগোঁজার ঠাই হারিয়ে লায়লা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান লায়লা বেগমের পরিবারের হাতে নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। ওইসময় তাদের থাকার জন্য নতুন একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন ইউএনও। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ শুক্রবার থেকে নতুন ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমারন শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, ঝড়ে বৈদ্যুতিক একটি খুঁটি পড়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লায়লা বেগমের ঘর ভেঙে যায়। নতুন করে ঘর বানানোর সামর্থ্য তাদের নেই। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে লায়লা বেগমকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি ঘর বানিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার থেকে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *