প্রায় দুইশ’ বছর পর গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে প্রথম মসজিদ

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ 

প্রায় ২শ’ বছর পর গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে প্রথম মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে এ মসজিদের কার্যক্রম শুরু হয়। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে।

দেশটিতে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ আল আমিন জানান, সরকারিভাবে এখানে এতোদিন কোনো মসজিদ ছিল না। এথেন্সে উদ্বোধন হতে যাওয়া এ মসজিদটি এখানকার মুসলমানদের মধ্যে বাড়তি আনন্দের সৃষ্টি করেছে।

অর্থোডক্স খ্রিস্টানিটির পর দেশটির সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তারা দেশটির মোট জনসংখ্যার দেড় শতাংশের মতো। গ্রিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুরস্কের সীমান্তবর্তী থ্রেস দেশটির একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। ইউরোপের মধ্যে থ্রেসই একমাত্র অঞ্চল যেখানে শরীয়া আইন রয়েছে।

বলকান উপদ্বীপের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত ৫০ হাজার ৯৪৯ বর্গমাইল আয়তনের দেশ গ্রিস। উত্তরে আলবেনিয়া, মেসিডোনিয়া ও বুলগেরিয়া, পূর্বে তুরস্ক ও অ্যাজিয়ান সাগর, দক্ষিণে ক্রেতান ও লিবিয়ান সাগর এবং পশ্চিমে আইয়োনিয়ান সাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত এ দেশটি আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতার ভিত্তিভূমি হিসেবে পরিচিত।

পাশাপাশি, গ্রিস পূর্বাঞ্চলীয় অর্থোডক্স খ্রিস্টানিটির প্রধান তীর্থভূমি হিসেবেও সমাদৃত। সর্বশেষ ২০১৯ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেশটিতে প্রায় এক কোটির মতো মানুষ বসবাস করেন। তাদের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ অর্থোডক্স খ্রিস্টানিটির অনুসারী।

প্রসঙ্গত, এথেন্স বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো শহরগুলোর একটি। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের পর থেকে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠে গ্রিস। এথেন্সের বিভিন্ন শহরতলীতে চোখে পড়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, লেবানন, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ। তাদের একটি বড় অংশ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী।

গ্রিসে স্থানীয় মুসলমানদের বেশিরভাগ আলবেনীয় ও তুর্কি বংশোদ্ভূত। তাদের অনেকে গ্রিসের মূলধারার সঙ্গে নানাভাবে মিশে গিয়েছেন। অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের মতো তাদেরকে বিশেষভাবে আলাদা করার উপায় নেই। এছাড়াও, বেশ কিছুসংখ্যক গ্রিকভাষী রয়েছেন যারা জন্মগতভাবে মুসলমান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *