‘পাপনকে নিয়ে সালাউদ্দিনের বক্তব্য অশোভনীয়’

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:

দেশের শীর্ষ দুই ফেডারেশনের সভাপতির কথার যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। 

রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি অত্যন্ত সম্মানিত মানুষ, আমাদের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। খেলাধুলায় তার অবদান অবশ্যই অবিস্মরণীয়। খেলাধুলার জগতে তার অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু উনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিকে নিয়ে যে মন্তব্যটি করেছেন তা অশোভনীয় বক্তব্য।

তিনি আরও বলেন, কেউ এটা মানতে পারে না। নাজমুল হাসান পাপনও সম্মানিত মানুষ, সংসদ সদস্য ছাড়াও ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। আবার সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াপ্রেমী একজন মানুষ, তিনি খেলাধুলাকে এত ভালোবাসেন। তিনি নিজে সবসময় খেলাধুলার খবর নেন, নিজে টেলিভিশনে খেলাধুলা দেখেন। যখন সময় পান মাঠে চলে আসেন। এটা কিন্তু জন্মগতভাবে উনার মধ্যে এসেছে। ওনার পরিবার খেলাধুলা জগতের মানুষ।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের একটি কথাবলা, আমি কোনোভাবেই মানতে পারছি না। এ ধরনের কথা এড়িয়ে চলা উচিত। বুঝতে হবে কোন কথাটি বলা উচিত। আমাদের মতো মানুষের কাছে অন্যরা শিখবে। আমরা এমন কোনো কথা বলব না, যে কথা শুনে মানুষ বিভ্রান্ত হবে, মনে কষ্ট পাবে।

পাপন-সালাউদ্দিনের কাদা ছোড়াছুড়ির সূত্রপাত নারী ফুটবল দলকে মিয়ানমার না পাঠানো এবং সাফজয়ী সাবিনাদের বিসিবির পুরস্কার নিয়ে কাজী সালাউদ্দিনের বক্তব্যকে ঘিরে।

সাবিনাদের মিয়ানমার না পাঠানোর প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আমাকে ফোন করেছিল। দল পাঠাতে আর্থিক সাহায্যের কথাও জানিয়েছে। আর্থিক সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীকে কেন জানাইনি, এ কথাও আমাকে বলা হয়েছে।’

সালাউদ্দিনের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ম্যাচ চলাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। সেখানে ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেননি। এই দূরত্ব কেন?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘সবার ব্যক্তিত্ব তো এক না। আমি তো লোক দেখিয়ে বলব না- এই প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়েছেন। আমি ওই রকম না। আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। আমি ওই নাটক করতে পারব না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি। আমি লোক দেখাতে পারব না।’

গত ১৪ মার্চ তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে হারানোর মধ্য দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে মিরপুরে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। সেই ম্যাচে ৫৭ বলে ১০টি চার আর এক ছয়ের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন লিটন দাস।

সেদিন মিরপুরে লিটনকে একের পর এক চার-ছক্কা মারতে দেখে একটু টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খেলা চলাকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে একাধিকবার ফোন করেন।

খেলা শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাকে কি বলেছিলেন- সেই কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে বলছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন- ‘একবার নয়, একাধিকবার ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যখন লিটন দাস চার-ছয় মারছিল তখন উনি বলছিলেন- এত ছয় মারতে গিয়ে আউট হয়ে যায় যদি!’ আমি বলছি, ‘আউট হয়ে গেলেও অসুবিধা নেই, মাত্র কয়েকটা ওভার বাকি রয়েছে, এখন মারতেই হবে। এরকমভাবে খেলার মধ্যেও ফোন করছিলেন। উনি বল বাই বল খেলা দেখেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *