দূর দেশে থেকেও দেশের স্বজনদের জন্য অনেক চিন্তা অনেক ভয়

মোঃ জাকির হোসেনঃ

মা মাটির টানে, স্বজনদের কাছে এই যাচ্ছি যাবো বলে, ছয়মাস পুর্ব থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েও যাওয়া হলো না। কোবিড-১৯ এর কারনে। হয়তো বা যাওয়া হবে কোন একদিন কোন এক সময়। সৃষ্টিকর্তার কৃপায়। জিবন আর বাস্তবতার মধ্যে দাঁড়িয়ে কোথাও কোন সমাধান নেই, এমনকি খুঁজেও পাচ্ছি না। নিজের দেশ জন্মভূমি বাংলাদেশের প্রিয় মানুষগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। মনের টান কিংবা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।

দেশে ফেলে আসা অনেক স্মৃতিময় দিনগুলো আজও হৃদয়ে দোলা দেয়। এরই মধ্যে অনেকেই আবার আমার মতো করে প্রবাসী। এই কয়টি বছরে অনেক স্বজন না ফেরার দেশে চলে গেছেন। হয়তো বা আর অনেক স্বজনকে হারাবো। এই সব কিছুই সৃষ্টিকর্তার ইশারায়।
স্কুল-কলেজ ও মিডিয়া জিবনের প্রিয় স্বজন, সহযোদ্ধা বন্ধুদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অনেকের সাথে নেই পুর্বের মতো আড্ডা কিংবা ফোন আলাপ। হয়তো অনেকের ধারনা প্রবাসে অবস্থান করে দেশের স্বজনদের ভুলে গেছি। আসলে তা নয়। প্রবাসের বাস্তবতা ও দেশের বাস্তবতা ভিন্ন।
৪ অক্টোবর ২০১৬ ইংরেজি কুয়েত, লন্ডন হয়ে জে ত্রফ কে ত্রয়ারপোর্ট দিয়ে নিউইর্য়কে প্রবেশ করি ত্রখানকার সকালে। তারপর থেকে প্রবাস জিবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। জিবন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার এক ভিন্নরকম সংগ্রাম।

প্রায় দু-মাস পরে ১৩ই ডিসেম্বর ফাষ্টফুডের দোকানে কাজে যোগদান করি। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ইং প্রথমবারের মতো ১৫৫.৮৬ ডলারের চেক পাই। এই কাজের শুরু ও কাজের বর্তমান অবস্থান ওই একি জায়গায়। দূরদেশে থেকেও দেশের স্বজনদের জন্য অনেক চিন্তা অনেক ভয় হয়। অজানা আতংকের মধ্যে দিয়ে প্রতিনিয়ত সময় পার করতে হয়। সময়ে অসময়ে (দেশের) মোবাইলের রিং বাঁজলে অজানা আতংকে চমকে উটি।

প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে প্রতিদিনের চলাফেরা, বিভিন্ন রকম স্মৃতিময় দিনের জগৎ কে উপলব্ধি করা মানেই সেই পুরনো দিনে হারিয়ে যাই চোখের পলকেই।বিয়ানাবাজার শহরের অনেক স্মৃতি। তাহা ভুলে যাওয়ার নয়। রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, সংবাদ সংক্রান্ত আলোচনাসহ বন্ধুদের সাথে হরেক রকম, আড্ডার ফাঁকে দিন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলতো। সেই দিনগুলো খুব মনে পড়ে। ইচ্ছা থাকলেও সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না।
বর্তমান সময়ে অজানা এক আতংক,ভয়ের মধ্যে বিশ্বের প্রতিটি দেশের জনগন । একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই সমাধানে মালিক।

লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ও বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *