চীনে দ্বিতীয় দফায় করোনার হানা, নতুন আক্রান্ত ৫৭

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:

চীনে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে। এতে দেশটিতে নতুন করে ৫৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রোববার দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এ কথা জানিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে দুইমাসের মধ্যে একদিনে করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে এটি রেকর্ড। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে ৩৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৩৬ জন রাজধানী বেইজিংয়ের। দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম থেকে রাজধানীতে এটিই সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা।

৮ সপ্তাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বেইজিংয়ে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। বাকি ১৯ জন বিদেশ থেকে আসা ভ্রমণকারী। যার বেশিরভাগ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডু শহরের।

চীনের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, বেইজিংয়ে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যাদের করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে তাদের মধ্যে প্রায়ই জিনফাদি বাজারে কাজ করেছেন বা শপিং করেছেন। এই বাজারটি শহরের দক্ষিণে পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত, সেখানে সামুদ্রিক খাবার, ফলমূল, মাংস ও শাকসবজি বিক্রি করা হয়।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হারবিন ও দালিয়ানসহ অন্তত ১০ টি শহরের বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এসব বাসিন্দাদের বেইজিংয়ে ভ্রমণ না করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।

এদিকে জিনাফাদি বাজারে সম্প্রতি সাতজন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর শনিবার বাজারটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই বাজারটিতে প্রতিদিন দেড় হাজার টন সমুদ্রজাত খাবার, ১৮ হাজার টন শাকসবজি ও ২০ হাজার টন ফল বেচাকেনা হয়ে থাকে।

চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। জানুয়ারির শুরুতেই কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করে দেশটি।

ওয়ার্ল্ডওমিটারসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ১৩২ জন। মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।

আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৩ জন। আর এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ৮৮২ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *