কোনাগ্রামে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন!

মুকিত মুহাম্মদঃ 

মা-বাবা মারা গেছেন বহু আগে। অভাবের সংসারে চার ভাইয়ের কেউ প্রতিষ্টিত নয়। গৃহস্থি আর ছোটখাটো বেসরকারি চাকুরী করে চলে সংসার। নুন আনতে পানতা ফুরায়। ভাইদের সবার মধ্যে অভাব গোছানোর স্বপ্ন। কিন্তু অভাব কি আর সহজে যায়?

জোড়াতালি সংসারে দু:খের পাশাপাশি ভাইদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝিও আছে। এসব নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হয়। নিজেদের মধ্যে আবার মিটমাটও হয়ে যায়। তবে বুধবার দিবাগত রাতে দুই ভাই কামরুল ইসলাম ও তানভিরের মধ্যে বিরোধ আর শেষ হয়নি। বিদেশের স্বপ্নে বিভোর দু’ভাইয়ের একজন চলে গেছেন না ফেরার দেশে অপরজন ফেরারী। হয়তো ফেরারী ভাই তানভির আহমদ (১৭) এর বাকি জীবনটা কাটাতে হতে পারে কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্টে! বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের ঘটনা এটি।

বুধবার দিবাগত রাতে কামরুল-তানভিরের ঝগড়ার নেপথ্যে ছিল এসব ঘটনা। ঘাতক ছোট ভাই ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে দলের সকল সভা-সমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। নিহত বড় ভাই কামরুল ইসলাম (২৪) এর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এলাকাবাসী জানান, নিহত এবং ঘাতকের পরিবারের সকল সদস্য জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের পিতা চান্দ আলী বহুআগে মারা গেছেন। নিহতরা চার ভাই।

সূত্র জানায়, অভাবের সংসারে বিদেশ যাওয়ার টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। বুধবার গভীর রাতে দু’ভাই বাড়ি ফিরলে তাদের মধ্যে এসব নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ছোট ভাই তানভির আহমদ (১৭) দা দিয়ে কোপ মারলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বড় ভাই কামরুল। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পালিয়ে যায় তানভির। পরে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ।

বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক তানভীর এখন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *