কাশিনগরে মাঝিবিহীন নৌকায় নদি পার : ভিডিওসহ

কাশিনগরে মাঝি ছাড়াই চলছে নৌকা

এপাড়ে কাপনাপাহাড় চা বাগান আর অন্যপারে কাশিনগর গ্রামে। দুই এলাকার মধ্য দয়ে বয়ে গেছে জুড়ি নদি।প্রতিদিন এই নদি দিয়ে অনেক লোকজন পার হোন, এদের মধ্যে রয়েছেন চাকুরুজীবী,শিক্ষার্থী , ব্যবসায়ী সহ  বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।লোকজনদের পারাপারে সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই অভিনব পদ্ধতিতে মাঝি ছাড়াই নৌকা চালানো হচ্ছে।

প্রচলিত পদ্ধতিতে নৌকা সাধারণত মাঝিরা বৈঠার সাহায্যে চালিয়ে থাকেন। কিন্তু কাশিনগরে মাঝি রমু দাস চিরাচরিত পন্থার বাইরে গিয়ে রশির সাহায্যে নৌকাকে চালিয়ে লোক পারাপার করছেন। তিন মাস আগে তিনি এই উদ্যোগের শুরু করে কোন রকম অসুবিধা ছাড়াই সফলতার সহিত লোকজন পারাপার করছেন। স্থানীয় লোকজন এই ব্যবস্থার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

ভিডিওঃ শিবতোষ ভট্টাচার্য 

নদীর দুই প্রান্তে দুইটি করে বাঁশের সাহায্যে রশি দিয়ে নৌকার সাথে লাগিয়ে চালানো হয়। মাঝি নৌকায় থাকার পরিবতে নদীর অপর দিকে পাড়ে বসে রশির সাহায্যে নৌকা চালান। এই পন্থার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে মাঝি ছাড়াই চাইলেই  খুব সহজেই রশি টেনে নদি পারাপার হতে পারবেন। যার ফলে নদি পারাপারের জন্য মাঝির উপর নির্ভরশীলতা অনেক  আংশে কমে এসেছে।

বলা বাহুল্য কাপনাপাহাড় চা বাগান ও কাশিনগর গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া জুড়ি নদির উপর দিয়ে সেতু তৈরি হবে। বর্তমানে সেতুর কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং কাজ শেষ করতে আনুমানিক ২ বছর সময় লাগতে পারে। 

রমু দাসের এই উদ্দ্যেগটি বিভিন্ন মহল ইতিমধ্যে প্রশংসা অর্জন করেছ। আশা করা যায় রমুর দাসের এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য অঞ্চলের মাঝিগন এই পদ্ধতি গ্রহনে উৎসাহিত হবেন।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *