এক নজরে ২০২৩ আইপিএলে যত নতুন নিয়ম

ক্রিকেটে টস কেন গুরুত্বপূর্ণ?

কারণ, টসের দ্বারাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়, আধুনিক ক্রিকেটে টসের গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়া ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে কন্ডিশন বিবেচনায় টসও আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আর সেই কারণে প্রায় সময়ই দেখা যায়, টসে জিতলে ম্যাচ জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ম্যাচের ফলে টসের এই প্রভাব কমিয়ে আনতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ একটি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

৩১ মার্চ শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১৬তম আসর মাঠে গড়াচ্ছে। সেই নতুন নিয়মানুযায়ী, এখন থেকে টসের পরে একাদশ চূড়ান্ত করা যাবে। অধিনায়কেরা চাইলেই একাদশ লেখা একের অধিক কাগজ নিয়ে টস করতে নামবেন।

ফলসরুপ টসের ফলের ওপর নির্ভর করে চূড়ান্ত একাদশের তালিক দিতে পারবেন। এ জন্য অবশ্য বাড়তি কোন সময় পাবেন না। টসের ঠিক পরপরই ম্যাচ রেফারির কাছে চূড়ান্ত ১১ জনের লিস্ট জমা দিয়ে দিতে হবে। আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনে এই নুতুন নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে ।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আসরগুলোতে টসের পর একাদশ নির্ধারনের নিয়ম অবশ্য নতুন নয়। এই বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ–টোয়েন্টিতে এ নিয়মের দেখা গিয়েছিল। যদিও নিয়মটা একটু ভিন্ন ছিল, সেখানে নিয়মটি ছিল, টসের সময় ১৩ খেলোয়াড়ের তালিকা দিতেন অধিনায়কেরা।

টসের পর ব্যাটিং বা বোলিং অনুসারে দুজনকে বাদ দিয়ে ১১ জনের তালিকা চূড়ান্ত করতেন। এ বিষয়ে টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর গ্রায়েম স্মিথ এই রকম সিধান্তের পেছনের যুক্তি হিসিবে জানান ম্যাচের ফলে টসের প্রভাব কমাতেই এ ব্যবস্থা। টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়, এসএ–টোয়েন্টির ৩৩ ম্যাচের মধ্যে টসে জেতা দল ১৫টিতে জিতেছে, হেরেছে ১৬টিতে (২টিতে ফল হয়নি)।

এবার একই চিন্তা থেকে টসের পর একাদশ চূড়ান্তের পথে হাঁটছে আইপিএল। ভারতের মাটিতে হোম–অ্যাওয়ে ভিত্তিতে সর্বশেষ আইপিএল হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেবার ৬০ ম্যাচের মধ্যে টসে জেতা দল জিতেছিল ৩৪টি ম্যাচ, হেরেছিল ২৩টিতে।

টসের পর একাদশ চূড়ান্তের পাশাপাশি আরেকটি নিয়মও এবার চালু করতে যাচ্ছে। দলগুলো ম্যাচের মাঝপথে একজন খেলোয়াড় বদলাতে পারবে, যাকে বলা হচ্ছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। টসের সময় একাদশের সঙ্গে চারজন বাড়তি খেলোয়াড়ের নাম দেবেন অধিনায়কেরা। ম্যাচের মাঝে এই চারজন থেকে একজনকে একাদশের অন্য কারও জায়গায় বদল করা যাবে। বদল করা খেলোয়াড় ব্যাটিং–বোলিং দুটিই করতে পারবেন।

অর্থাৎ আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান বা ৪ ওভার বল করে ফেলা বোলারের জায়গায় যিনি নামবেন, তিনি ব্যটিং, বোলিং দুটিই করতে পারবেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামানো যাবে ইনিংসের ১৫ ওভারের মধ্যে।

কনকাশনের ক্ষেত্রে অবশ্য সময়ের বাধা নেই। কেউ ব্যাট করার সময় মাথায় চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে নতুন কেউ এসে তাঁর বদলে ব্যাট করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ১১ জনের বেশি ব্যাটসম্যান এই ইনিংসে ব্যাটিং করতে পারবেন।

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ও টসের পর একাদশের পাশাপাশি আরও একটি নিয়মে বদল আনা হয়েছে এবার। উইকেটকিপার বা ফিল্ডারের নিয়মের বাইরের নড়াচড়া (আনফেয়ার মুভমেন্ট) ডেলিভারিটি ডেড ঘোষিত হবে, সেই সঙ্গে ৫ রান পেনাল্টিও হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *