সহজ শর্তে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা

বিয়ানীবাজারের ডাকঃ

নতুন নানা সুবিধা আসছে ব্রিটেনে ওয়ার্ক পারমিটে বাংলাদেশ তথা বাইরের দেশ থেকে লোক আনার ক্ষেত্রে। ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ের জন্য সমান পলিসির অংশ হিসাবে আগামী জানুয়ারি থেকে স্কিল ওয়ার্কার রুটে নূন্যতম লেভেল থ্রি যোগ্যতার সুযোগ দেয়ায় অন্তত ৫০০ নতুন পদ তৈরি হয়েছে, আর শর্টেজ অকুপেশন লিস্টে আরো ৭০টি নতুন প্রফেশন প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমান ব্রিটেনে ওয়ার্ক পারমিট পলিসি লেভেল সিক্স থেকে লেভেল থ্রিতে নামবে জানুয়ারি থেকে। এতে বাংলাদেশি কমিউনিটি ব্যাপকভাবে উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে রেস্টুরেন্ট সেক্টরের শেফ ক্যাটাগরি লেভেল কমানো হয়নি। কিন্তু নতুন সুযোগ সুবিধা আসায় সূবর্ণ সুযোগ হিসাবে দেখছেন অনেকেই।

ওয়ার্ক পারমিট আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার লুতফুর রহমান বলেন, শেফ যেহেতু জানুয়ারি থেকে ২৯ হাজার ৫০০ স্যালারি রুট থেকে ২৫ হাজারে নামিয়ে নিয়ে এসেছে সেই হিসাবে তারা হয়তো এটিকেই একটি পরিবর্তন হিসাবে দেখছে। নতুন সুযোগে স্কিল লেভেল নামিয়ে আনা হয়েছে। আগে যেখানে লেভেল সিক্স সম পরিমাণ শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করা যায়নি, এখন লেভের থ্রি থেকেই সেটা করা যাবে। লেভেল থ্রি আসার কারণে যেটা হবে আমাদের কমিউনিটি লেভেলে অনেক শপ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণে চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে।

এদিকে মাইগ্রেশন এডভাইজারি কমিটি ম্যাক শর্টেজ অকুপেশন লিস্ট ৭০টি নতুন কাজের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বেতন ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫০০ পাউন্ড। ব্যারিস্টার লুতফুর রহমান বলেন, এইটা ম্যাক প্রতি বছর একটি সার্ভে করে যে কোন কোন বিশেষায়িত পদে লোক লাগে। যেমন ধরেন নার্স বা বিজ্ঞানী বা সোশিয়াল কেয়ার এইরকম পদগুলো শর্টেশ অকুপেশন লিস্টে ছিলো, এ বছর বুচার, কনফেকশানারী কেক ডেকোরেটার্স, ব্রিক লেয়ার যারা করে তাদের নিয়ে আসছে, এই রকম অনেক প্রফেশন যুক্ত হয়েছে।

কেউ ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে এই দেশে স্থায়ী হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ছিলো আগে সেগুলোও থাকবে না। যেমন, আগে কারো প্রথম যে বেতনে ওয়ার্ক পারমিটে আসতেন পরে সেটা ভিসা এক্সটেনশনের সময় বাড়াতে হতো, এই নতুন নিয়মে যে বেতনে ওয়ার্ক পারমিটে আসবেন ৫ বছর পর সেই একই বেতন রেখেও তিনি স্থায়ী হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে স্কিল ওয়ার্কার হিসাবে আসলে সেখানে আবার আগের নিয়মেই মানে যে সময় স্থায়ী হওয়ার জন্য আবেদন করবেন তখন ৩০ হাজার পাউন্ড বেতন দেখাতে হবে। না হলে আবেদন প্রত্যাখাত হবে।

এতসব নিয়মের মধ্যেও আইএলটিএস ৪.৫ এটা অর্জন করতেই হবে। তবে ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে কোম্পানী গুলোর আগ্রহ অনেক কম বলে জানালেন বিজ্ঞ এই আইনজীবি। সরকার কোম্পানীগুলোকে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিচ্ছে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য রেজিস্টার করার জন্য। ইতিমধ্যে মাত্র ৩১ হাজার কোম্পানী ওয়ার্ক পারমিটের জন্য রেজিস্টার হয়েছে বলে জানা গেছে। যা ব্রিটেনের মোট কোম্পানীর মাত্র ৩ শতাংশ। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তো আরো অনেক কম।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *