লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে কসবায় গোলাম সারোয়ার সাঈদীর জানাজা

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর প্রাক্কালে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা আড়াবাইড়ী দরবার শরীফের পীরজাদা ও আইড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদীয়া আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার সাঈদীর জানাজা শেষ হয়েছে। তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান আড়াইবাড়ী দরবার শরীফে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে শুক্রবার দিনগত রাত ৪টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পরে শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে তার মরদেহ কসবা আড়াবাইড়ী দরবার শরীফে আনা হয়। প্রখ্যাত এ আলেমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা ভিড় করতে থাকেন। বাদ আছরের পর কসবার আড়াইবাড়ী দরবার শরীফ ময়দানে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের একমাত্র ছেলে গোলাম সোবহান সাঈদী। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন, কসবা-আখাউড়া আসনের সংসদ সদস্য ও আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সাঈদী আমার কাছের ছোট ভাই। তাকে আমি ছোট ভাইয়ের মতো দেখতাম। তার অকাল মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। কারণ এই অসময়ে তার চলে যাওয়ার কথা নয়। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

এসময় বক্তব্য রাখেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, মরহুমের তালই বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ কামাল উদ্দিন জাফুরী। এসময় কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে জানাজায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ-উল-আলম বলেন, গোলাম সারোয়ার সাঈদীর অত্যন্ত জনপ্রিয় আলেম ছিলেন। আমরা আগে থেকে সচেতন ছিলাম। চেষ্টা করেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছিল। আইনমন্ত্রীও বক্তব্য রেখেছেন, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি লোকমান হোসেন জানান, লোকজনের ঢল ছিল। আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। চেষ্টা করেছি স্বাস্থ্যবিধি যেন সবাই মানে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ জানান, এ সম্পর্কে আমাকে কেউ কোনো কিছু বলেনি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। না মেনে থাকলে কিছুটা ঝুঁকিতো থেকেই যায়।

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে বেড়তলা গ্রামে জুবায়ের আহমদ আনসারীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *