বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও কমেছে, বেড়েছে বাংলাদেশে

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ

বিশ্ববাজারে দ্রুত অপরিশোধিত তেলের দাম। বৃহস্পতিবার রাতে ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৯৩ দশমিক ৮১ ডলারে নেমে আসে, যা গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার পর সর্বনিম্ন। তবে গতকাল শুক্রবার এই প্রতিবেদন লেখার সময় ব্রেন্ট ক্রুডের দর আবার কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৪ দশমিক ৪০ ডলার। আরেক অপরিশোধিত তেল ডব্লিউটিআইয়ের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৮ ডলার। ইকোনমিক টাইমস–এর খবর

বাজারসংশ্লিষ্টদের একাংশের দাবি, মূলত আমেরিকা-ইউরোপে মন্দার আশঙ্কায় চাহিদা কমতে পারে বলে ধারণা। তাই দাম কমছে। অনেকের মতে, আমেরিকায় জ্বালানির মজুত ভান্ডার প্রত্যাশার তুলনায় বেশি হওয়া অন্যতম একটি কারণ। তবে বাংলাদেশের মতো তেলের আমদানিনির্ভর দেশের কাছে এটা সুখবর।

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে পেট্রল-ডিজেল যত তাড়াতাড়ি দামি হয়, উল্টোটা হলে দাম তত দ্রুত কমে না। তার ওপর দাম কমার ধারা কত দিন বহাল থাকবে, তা নিয়েও সংশয় আছে। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর গোষ্ঠী ওপেককে জোগান বাড়াতে বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা। রাশিয়াসহ বৃহত্তর ওপেক গোষ্ঠী জুলাই-আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে জোগান বৃদ্ধির হার তেমন একটা বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে দাম আবার বাড়বে কি না, সেই প্রশ্নও থাকছে।

কোভিডের শুরুতে সারা বিশ্ব যখন লকডাউনে, তখন অপরিশোধিত তেলের দর শূন্যেরও অনেক নিচে নেমে যায়। এতে তেল কোম্পানিগুলো ক্ষতির মুখে পড়ে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তেলের দর প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গেলে তেল কোম্পানিগুলোর পোয়াবারো হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *