দেশে এখন ভিক্ষা নেওয়ার মতো মানুষ নেই : মতিয়া চৌধুরী

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একদিকে রাষ্ট্রীয় কাজ পরিচালনা করছেন. একই সঙ্গে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অতন্দ্র প্রহরীর মতো একটি ইউনিয়নের দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে সকল সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা সব কিছুরই তিনি খেয়াল রাখেন। শেখ হাসিনা শুধু কর্মীবান্ধবই নন, তিনি অত্যন্ত জনবান্ধব ও মাতৃসুলভ একজন মানুষ।

আজ শনিবার দুপুরে জামালপুর শহরের ফৌজদারী মোড়ে জামালপুর পৌর শাখা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ২০০১ সালের আগে বিএনপি ও তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে উন্নয়নের খাতা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ হয়ে গেছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের খাতায় নাম লিখেছে। চিকিৎসাসেবা, রাস্তা-ঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষাখাতে উন্নয়ন, প্রতিবছর শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া, গৃহহীনদের ঘর দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি খাতে দেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

গ্রামের মায়েদের কাছে বিকাশে টাকা পাঠানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিকাশে দুই হাজার টাকা পেয়ে অনেকেই অবাক হয়ে জানতে চাইছে যে, কিভাবে শেখ হাসিনা তাদের নাম জানলো। তাদের নাম তো উনার জীবনেও জানার কথা না। এটাই হলো বাপের বেটি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনিক দক্ষতা ও সংগঠনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আজকে প্রত্যন্ত গ্রামের মা-বোনদের কাছে একটাই স্লোগান নিয়ে দাঁড়াইছেন, তা হলো-কাছে আছি, পাশে আছি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানুষকে কোনো করুণা ভিক্ষা নয়, তাদেরকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান করে দেওয়া হচ্ছে উপহার হিসেবে। মানুষ এখন আর ভিক্ষা নিতে চায় না। পান্তাভাত সাধলেও নেওয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ যুগ যুগ ধরে জনগণের পাশে থাকবে। কাছে থাকবে। জনগণকে সাথে নিয়েই এগিয়ে যাবে, এটাই হলো আওয়ামী লীগের প্রতিজ্ঞা। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শ দিয়েই আওয়ামী লীগের প্রতিজ্ঞা। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শ দিয়েই আওয়ামী লীগের প্রতিটি সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জামালপুর পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ এবং প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মো. আবুল কালাম আজাদ এমপি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী মো. রেজাউল করিম হীরা, প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, বেগম হোসনে আরা এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও  উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌরমেয়র মো. ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।

পরে বিকেলে মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বের কাউন্সিল অধিবেশনে পৌর শাখা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির শীর্ষ দুটি পদে নাম ঘোষণা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। নতুন কমিটিতে মাসুম রেজা রহিমকে পুনরায় সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. ছানোয়ার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *