ঢাকার মহাখালীতে হাত-পা গুলশান লেকে মাথা, বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ

রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারের পাশে মসজিদ গলি থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি হাত পা মাথাহীন ব্যক্তির শরীরের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছয় টুকরা লাশের মাথাটি ভাসছিল গুলশান লেকে। অবশেষে নিহতের পরিচয়ও জানা গেছে।

তার নাম ময়না মিয়া, বয়স আনুমানিক ৩৪ বছর। পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ময়না মিয়া থাকতেন রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরী গ্রামে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আজম মিয়া জানান, রোববার রাতে মহাখালী কাঁচাবাজার মসজিদ গলির সামনে থেকে হাত পা মাথা কাটা বস্তাবন্দি একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।

‘রাতেই মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দুই হাত এবং দুই পা বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকালের দিকে গুলশান লেক থেকে ওই ব্যক্তির মাথা উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আমরা নিশ্চিত হয়েছি উদ্ধার হওয়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো একই ব্যক্তির।’

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার শীল জানান, রোববার রাতে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় হাত পা মাথা কাটা ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি আমরা। ময়না মিয়া নামের সেই ব্যক্তি প্রথম স্ত্রী নিয়ে ঢাকায় থাকতেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী কিশোরগঞ্জ থাকেন। তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করে কিশোরগঞ্জ শ্বশুরবাড়ি ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র শনাক্ত করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটে বলে জানা গেছে।’

বিপ্লব কুমার শীল আরও জানান, কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে এবং কারা জড়িত এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গুলশান গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে একজন জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার স্ত্রী এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান মশিউর রহমান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *