টাক মাথার পুরুষ নারীদের কাছে অধিক আকর্ষণীয়, বলছে গবেষণা

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ

রাস্তায় বের হলে ‘টাক, আজই ঢেকে যাক’ বা ‘টাক নিয়ে ভাবনা, আর না, আর না’—এমন বিজ্ঞাপন চোখে পড়েনি এমন মানুষ পাওয়া যাবেন একজনও। এ ধরনের বিজ্ঞাপনের অবসান হতে যাচ্ছে! সেইসঙ্গে টাক মাথার লোকেরাও এবার কিছুটা আনন্দিত হতেই পারেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, টাক মাথার লোকেরা বেশি আকর্ষণীয়, সফল ও সুপুরুষ।

এক গবেষণার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে টাক মাথার লোকেদের জনপ্রিয় হওয়ার বেশকিছু কারণ উঠে এসেছে। চলুন কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক :

টেকোরা বেশি আকর্ষণীয়
জেসন স্ট্যাথাম, জেফ বেজোস বা ব্রুস উইলিসের মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিদের মিল কোনটি, বলুন তো? তাঁরা সবাই নিজ নিজ স্থানে সফল। স্ট্যাথাম ও উইলিস দুজনেই হলিউড সুপারস্টার, অন্যদিকে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোস বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী। তিনজনের মধ্যে আরো একটি ব্যাপারে মিল রয়েছে। তাঁরা তিনজনই টাক মাথার অধিকারী। সম্ভবত তাঁরা তিনজনই অনুভব করতে পেরেছেন যে চুলের স্বল্পতা কোনোভাবেই আকর্ষণহীনতা বা পৌরুষের সংকটের প্রতীক নয়।

টেকোরা শক্তিশালী
ইউনিভার্সিটি অব পেনিসিলভানিয়া পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, টাক মাথার লোকেরা অন্যদের তুলনায় বেশি কর্তৃত্বশালী ও সফল। বিজ্ঞানী আলবার্ট ই ম্যানস নিজেও টেকো। তিনি জনসাধারণকে টাক মাথার মানুষের সিরিজ ছবি দেখানোর পর তাঁদের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করেন।

অংশগ্রহণকারীদের একজন মানুষের দুরকম ছবি দেখানো হয়। একটি ছবিতে মাথাভর্তি চুল ও অন্যটিতে টেকো মাথা দেখানো হয়। অংশগ্রহণকারীদের সবাই টেকো মাথার ছবিটির ব্যক্তিকে ‘বেশি প্রভাবশালী, বড় ও শক্তিশালী’ দেখাচ্ছে বলে অভিহিত করেন।

টেকো মাথার লোক অধিক বুদ্ধিমান
ইউনিভার্সিটি অব সারল্যান্ডের মনোবিজ্ঞানী রোনাল্ড হেনস বিশ্বব্যাপী বিশ হাজারেরও বেশি বিষয়ে গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণার ফল বলছে, টেকো মাথার লোকেরা বেশি বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী হয়।

হালকা টাক আকর্ষণীয় নয়
ইউনিভার্সিটি অব সারল্যান্ড পরিচালিত আরেক গবেষণার ফল বলছে, হালকা টাক মাথার লোকের চেয়ে পুরো টাক মাথার লোকেদের বেশি আকর্ষণীয় বলে মত প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা।

টাকে হীনমন্যতায় ভোগে পুরুষ
‘আমি ২৩ বছর বয়সে চুল হারাতে শুরু করি। প্রথমদিকে আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলাম। বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ায় চুল ফিরে পেতে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করি। কিন্তু একসময় আমি বুঝতে পারি, আমার চুল আর গজাবে না। তখন আমি ধীরে ধীরে টেকো মাথার সঙ্গে মানিয়ে নিতে থাকি। এটি তখনকার ঘটনা যখন জ্যাসন স্ট্যাথাম বা ভিন ডাইসেল ধীরে ধীরে তুমুল জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। এটি আমাকে স্বাচ্ছন্দ্য ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে,’ জানাচ্ছিলেন ভারতের সরকারি চাকরিজীবী আশুমান দাস।

টেকোকে অস্বস্তিতে ফেলবেন না
প্রিয় মানুষটির চুল পড়ে গেলে বা টাক হলে তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলার কোনো কারণ নেই। বরং তাঁকে বলতে পারেন, বিশ্বজুড়েই টাক মাথার লোকেদের দেখা যায়, অন্যদের তুলনায় তাঁরা অধিক মেধাবীও বটে। টাক এখন সৌন্দর্যের বিষয়, সাফল্যের প্রতীক, তাই নয় কি?

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *