একজন মুসলিম হিসেবে মহানবীর অবমাননা কীভাবে মেনে নেব -মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কোনো ধর্মের অনুসারীই তাদের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননা মেনে নিতে পারে না। একজন মুসলিম হিসেবে মহানবীর (সা.) অবমাননা কীভাবে মেনে নেবো? প্রকৃত ধার্মিক ধর্মের নামে হঠকারী ও উগ্রতায় বিশ্বাস করে না।

আজ শুক্রবার রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এবং ফ্রান্সে মহানবীর (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

তিনি অন্য ধর্ম বিশ্বাসের ওপর আঘাত না করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানি‌য়ে বলেন, এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশে দেশে শান্তিকামী মানুষের জাগরণ ঘটাতে হবে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, পৃথিবী থেকে অন্ধকার অনাচার ব্যভিচারসহ মানবতা বিরোধী অপরাধ দূর করতে আলোর মশাল নিয়ে শুভাগমন করেন বিশ্ব মানবতার  মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে নারী জাতির কোনো মর্যাদা ও অধিকারই ছিলনা। মহানবী (সা.) নারী জাতিকে মর্যাদা ও শ্রদ্ধার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনিই পৃথিবীতে সাম্য মৈত্রী সুবিচার এবং সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ গড়ে তোলেন। তাই মহানবী’র (সা.) এই দুনিয়ায় শুভাগমন সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ। এজন্যই নিয়ামতের শুকরিয়ার্থে আমরা জশনে জুলুস উদযাপন করি।

সমা‌বে‌শে আরো বক্তব‌্য রা‌খেন হযরত মাওলানা বাকী বিল্লাহ্ আল-আযহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, আন্জুমান সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো. আলমগীর খাঁন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাবেক এসপি আবুল কালাম আজাদ, হযরত মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলান ইসমাইল সিরাজী প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *